bangladeshijokes24 .co.nr Bangladeshi Jokes: March 2013
7:15 AM

একজন আসেনি!

নদীদের বাগানে কাজ করছে দুই মালি। একজন গর্ত খুঁড়ছে, আরেকজন গর্ত ভরাট করছে। একজন গর্ত খুঁড়ছে, আরেকজন গর্ত ভরাট করছে। আর তাই দেখে রাশেদের তো আক্কেল গুড়ুম। গিয়ে মালিদের জিজ্ঞেস করলো, কী ব্যাপার! তোমরা গর্ত খুঁড়ছো আর ভরাট করছো কেন?

শুনে যে মালি গর্ত খুঁড়ছিলো, সে ঘুরে দাঁড়িয়ে বললো, আমরা আসলে বাগানে কাজ করি তিনজন। আমি গর্ত খুঁড়ি, আরেকজন তাতে গাছ লাগায়, আর ও গর্ত ভরাট করে। কিন্তু আজকে যে মালি গাছ লাগায় ও আসেনি। তাই বলে তো আর আমরা কাজ না করে বসে থাকতে পারি না! তাই আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।
[এয়ারটেল এ ফ্রি ইন্টারনেট http://adf.ly/X39QZ]


7:13 AM

পাদের গল্প


       এক লোক অতি বিকট শব্দে বায়ু ত্যাগ করে। তার যেমন বিকট আওয়াজ তেমনি উৎকট গন্ধ।তার বউ বিরক্ত।
-তুমি কি এটা ইচ্ছা করেই করো নাকি?
-ইচ্ছা করে আবার করা যায়?
-কি জানি। তবে তোমার জ্বালায় ত আর থাকতে পারছি না। দেখো কমাতে পারো কিনা।

এত কথা পুরোটাই নষ্ট হয়েছে। পরদিন সকালেই আবার বিকট শব্দে কাজ শুরু করেছে। বউ বিরক্ত হয়ে বলল
-তুমি যেভাবে চালিয়ে যাচ্ছো তাতে কদিন কিন্তু পাদ দিতে গিয়ে নাড়ি-ভুড়ি বের হয়ে যাবে।
-তুমি কি... সব কথা বলো। নাড়ি-ভুড়ি বের হবে কেনো?
-বের হবে ...একশবার হবে...তুমি জোর করে এমন বিকট আওয়াজ করো।

একদিন সকালে সে অভ্যাসগত ভাবেই বিকট শব্দে ত্যাগ করছে। তার বউ আর শুয়ে থাকতে পারল না। 

উঠে যেতে যেতে বউয়ের মাথায় এসেছে এক বুদ্ধি। নীচে নেমে ফ্রিজ থেকে মুরগি বের করল। এরপর মুরগির নাড়ি-ভুড়ি নিয়ে এসে স্বামীর পাজামার ভিতর দিয়েছে ঢুকিয়ে। চুপ করে নেমে এলো। রান্না করতে করতে দুই কান খাড়া করে রাখছে সে। কখন তার স্বামী চিৎকার করে ঊঠবে। কিছুক্ষন পর যথারীতি এক চিৎকার। বউয়ের মুখটা আনন্দে ভরে গেছে। এইবার হইছে উচিত শিক্ষা।

আধা ঘন্টা পর নেমে এসেছে জামাই। এসেই বলে
-ও বউ ,তুমি ঠিকই বলেছিলে। এতো জোরে পাদ দেয়া ঠিক না । আজকে সকালেই পাদ দিয়ে ত নাড়ি-ভুড়ি বের হয়ে গিয়েছিল আমার।
-তাই নাকি?
-তবে বলছি কি আর। তবে খোদার রহমতে, একটু চেষ্টা করে সমস্তটা আবার ভিতরে ভরে ফেলতে পারছি।

6:55 AM

সুজন কলকাতায় হারালো


সুজন একবার ভারত এসেছিল বেড়াতে। কলকাতা শহর ঘুরে দেখতে সে একদিন মেট্রো রেলে উঠলো। 
ট্রেন যখন ছাড়ছে সে সময়ে একটা লোক ছুটতে ছুটতে উঠতে গিয়ে দরজায় আটকা পড়লো। সুজন এবং
অন্য যাত্রীদের টানাটানিতে লোকটা কোনরকমে ভেতরে ঢুকলো। কিন্তু তার একটা কান কাটা পড়ল। ট্রেন
থেমে গেছে। সবাই যখন লোকটার সেবা‌ শশ্রুষায় ব্যস্ত তখন সুজন প্লাটফর্মে নামলো লোকটার কানের
খোঁজে। বহু খোঁজাখুজির পর কানটি উদ্ধার করে লোকটার হাতে দিলো সুজন। বললোঃএই নিন আপনার
কান। লোকটা অম্লান বদনে বললোঃ এটা আমার কান নয়, আমার কানে বিড়ি গোঁজা ছিল।

6:32 AM

চার কাউবয়


চার কাউবয় একসাথে আগুনের পাশে গোল হয়ে বসে আলোচনা করছে, সবচে' দ্রুত কোন জিনিস।

প্রথমজন বলছে, 'চিন্তা, বুঝলে? হাতে কাঁটার খোঁচা খেলে, কিংবা তামাকের ছ্যাঁকা খেলে কী হয়? সেটা চিন্তা হয়ে সাথে সাথে মাথায় ঘা দ্যায়!

দ্বিতীয়জন বলছে, 'আরে না। চোখের পাতা ফেলা হচ্ছে সবচে দ্রুত। চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই আবার সব আগের মতো দেখা যায়।

তৃতীয়জন বলছে, উঁহু, আলো। দ্যাখো না, সুইচ টিপতেই ঘর থেকে কিভাবে অন্ধকার সরে ...যায়?

চতুর্থজন বলছে, ঘেঁচু। সবচে দ্রুত হচ্ছে ডায়রিয়া।

বাকিরা ঘাবড়ে গেলো, 'কিভাবে, কিভাবে?
গেলোবার মেক্সিকোতে গরু বিক্রির সময় ওদের তরকারি খেয়েছিলাম, বুঝলে? ব্যাটারা এতো ঝাল খায়! রাতের বেলা হোটেলের বিছানায় শুয়ে আছি, হঠাৎ পেটটা কেমন যেন করে উঠলো। তারপর আমি কোন চিন্তাও করতে পারলাম না, চোখের পাতিও ফেলতে পারলাম না, এমনকি ঘরের সুইচও টিপতে পারলাম না, তার আগেই ...।

4:06 AM

বাংলাদেশী, ভারতীয় ও পাকিস্তানী আমাজনে


এক বাংলাদেশী, এক ভারতীয় আর একজন পাকিস্তানী ঘুরতে বের হয়েছে আমাজনে। যেহেতু এটা একটা
কৌতুক তাই আপনি এতক্ষনে বুঝে ফেলেছেন এরা ধরা পড়েছে জংলীদের হাতে। জংলীরা তিনজনকে
একটা কুড়েঘরে আটকিয়ে রেখেছে। খুব চমৎকার একটা ফল খেতে দিচ্ছে তাদের। এই ফল খেয়ে তাদের
চামড়া খুব মসৃন হয়ে যাচ্ছে। যেন তাদের যৌবন ফিরে আসছে। এরা তিনজনেই খুশী। এই সুখ অবশ্য
বেশীদিন সইল না। একদিন সকালে জংলী সর্দার এল। এসে প্রথম ধরেছে পাকি-টাকে।
-তুমি কিভাবে মরতে চাও? 
পাকিটা বলল তোমারা যে ফলটা খেতে দাও,সেই রকম মিষ্টি কোন ফল নিয়ে আস যেটা বিষাক্ত। ওটা
খেয়েই আমি মরব। তার ইচ্ছা অনুযায়ী লাল একটা ফল নিয়ে আসা হল। পাকিটা "পাকিস্তান জিন্দাবাদ"
বলে ফলটা খেয়ে ফেলল। তার এসে গেলো গভীর ঘুম যা আর ভাঙ্গে না। বাংগালী আর ভারতীয় দুইজন
এরপর দেখল ভয়াবহ ব্যাপারগুলা। 

জংলীরা পাকিটার মাথা আলাদা করে সেটাকে মমি করে রাখল । বাকি শরীরের চামড়া ছাড়াল। এরপর
সেটা দিয়ে বানাল ছোট একটা ক্যানু(canoe)এইসব দেখে ভারতীয় আর বাঙ্গালীর অবস্থা খারাপ। পনের
দিন পর জংলী সর্দার আবার এল। এইবার ভারতীয়টার পালা। ভারতীয়টাও "জয় হিন্দ" বলে ফল খেয়ে
মারা গেল। তার মাথার মমি করা হল, চামড়াটা দিয়ে বানানো হলো ক্যানু। 

কিছুদিন পরে বাঙ্গালীর পালা...
 
তাকে জিজ্ঞেস করা হলো কিভাবে মরবে? সে চাইলো একটা কাটা চামচ। এরপর কাটা চামচটা দিয়ে
নিজের শরীরের নানা জায়গায় আঘাত করতে করতে বলল,"খানকির পুত! পারলে এইবার নৌকা বানা...